| |
               

মূল পাতা জাতীয় বন্যার্তদের ঘরবাড়ি মেরামতে সহযোগিতা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী 


বন্যার্তদের ঘরবাড়ি মেরামতে সহযোগিতা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী 


রহমত ডেস্ক     30 June, 2022     11:11 PM    


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৃহত্তর সিলেটসহ দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট যেগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো আবার মেরামতের জন্য সহযোগিতা করা হবে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে।

আজ (৩০ জুন) বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে  একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে ২২৮ জন সংসদ সদস্য বাজটে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। ৩৮ ঘণ্টা ৫৭ মনিটি আলোচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে দেশে বন্যা হয়। পরবর্তীতে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসবে এটা আমাদের ধরেই নিতে হবে। এ জন্য আমারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার, ওষুধ ও তাঁবু প্রেরণ করার ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। মানবতার কারণে আমরা এ কাজটা করে যাচ্ছি।করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ওপর চাপ এসেছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেগুলোতে চাপ আসে। দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখার জন্য ভোক্তা অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো দিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছি। তাছাড়াও আমরা রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা ও অন্যান্য জায়গা থেকে গম, সার ও তেল যাতে আমদানি করা যায়… ব্রাজিল থেকে তেল আমদানির ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুফলই নয়, প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচন করেছে। পদ্মা সেতুর কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরণের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির সুযোগই ছিল না। যেমন নির্দেশনা দিয়েছিলাম সে অনুসারে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ব্যয় তুলনামূলক বেশি নয়। ১৯৯৭ সালে আমি যখন জাপান গিয়েছিলাম, তখন পদ্মা সেতু ও রূপসা নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করি। ওই সময়ে রূপসা সেতু নির্মাণ হলেও পদ্মা সেতু হয়নি। পরে আবারও ক্ষমতায় এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেই। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে গেলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সংসদে এই ঘোষণা দেওয়ার পর জনগণের ব্যাপক সাড়া পাই। সর্বশেষ সেতু নির্মাণে সফল হয়েছি। এই সেতুতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরণের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।